লিঙ্গ
লিঙ্গ সাধারণত বিশেষ্য ও সর্বনামের হয়ে থাকে। বাংলা ভাষায় লিঙ্গ চার
প্রকার।
যে বিশেষ্য বা সর্বনাম দ্বারা কোন পুরুষ বা পুরুষ শ্রেণিকে বুঝায় তাকে
পুংলিঙ্গ বলে। যেমন- স্বামী, ছেলে, ষাঁড়, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ ইত্যাদি
যে বিশেষ্য বা সর্বনাম দ্বারা কোন স্ত্রী বা স্ত্রীবাচক শ্রেণিকে বুঝায়
তাকে স্ত্রীলিঙ্গ বলে। যেমন- স্ত্রী, মেয়ে,
গাভী, ঘোড়ী, বাঘিনি, সিংহী ইত্যাদি
যে বিশেষ্য বা সর্বনাম দ্বার কোন জড় বস্তুকে বুঝায় তাকে ক্লীব লিঙ্গ
বলে। যেমন- ঘর, বাড়ি, দুকান, গাছ, কলম, বই, কথা, যাওয়া।
আর যে বিশেষ্য বা সর্বনাম দ্বার পুরুষ বা স্ত্রী উভয়কে বুঝাতে পারে তাকে
উভয় লিঙ্গ বলে। যেমন- সন্তান, শিশু, মানুষ, শিক্ষার্থী।
কিন্তু
হিন্দী ভাষায় লিঙ্গ দুই প্রকার। এক পুংলিঙ্গ দুই স্ত্রীলিঙ্গ। হিন্দী
ভাষায় ক্লীব লিঙ্গ এবং উভয় লিঙ্গ বলে কিছু নেই। জড় বস্তু গুলোও পুংলিঙ্গ অথবা স্ত্রী
লিঙ্গ হবে। জড় বস্তুটি কোন লিঙ্গের তা চেনাটা একটু জটিল। যেমন- কলম এর হিন্দী হলো “क़लम” যা একটি পুংলিঙ্গের শব্দ।
আবার “বই” শব্দের হিন্দী হলো “किताब” যা একটি স্ত্রীলিঙ্গের শব্দ। হিন্দী ভাষায় পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ চেনার
কিছু উপায় থাকলেও এটা অনেকটা চর্চার উপর নির্ভর করবে। যত বেশি চর্চা করবেন, হিন্দী
শুনবেন তত বেশি আয়ত্বে আসবে।
এখন বিষয় হলো লিঙ্গ শেখার প্রয়োজনীয়তা এত বেশি কেন?
বাংলা ভাষায় বিশেষণ ও ক্রিয়ার উপর বিশেষ্য বা সর্বনামের লিঙ্গের কোন
প্রভাব পড়ে না। কিন্তু হিন্দী ভাষায় বিশেষ্য বা সর্বনামের লিঙ্গের উভর ভিত্তি করে বাক্যের
অন্যান্য পদ যেমন – বিশেষণ ও ক্রিয়া পদ ভিন্ন হয়। যেমন- বাংলায়
আমরা বলতে পারি
ষাঁড় গাড়ি টানে। গাভী দুধ দেয়। এই বাক্য দুটি তে কর্তা যথাক্রমে “ষাঁড় ও গাভী”। ষাড়ঁ পুংলিঙ্গ
আর গাভী স্ত্রীলিঙ্গ। কিন্তু কর্তার লিঙ্গের পার্থক্যে ক্রিয়ার বিভক্তিতে কোন পার্থক্য
হয়নি। কিন্তু বাক্য দুটি যদি হিন্দীতে বলি তাহলে দাঁড়ায় – বেয়ল গাড়ী ঢোতা
হেয়, গাায় দূধ দেতী হেয়। বাক্য দুটি সাধারণ বর্তমান কালের বাক্য। প্রথম বাক্যের কর্তা
“বেয়ল/ষাঁড়” পুংলিঙ্গ হওয়ায়
“ঢো” ধাতুর সাথে “তা” বিভক্তী যুক্ত
হয়েছে। দ্বিতীয় বাক্যে কর্তা “গাায়” (গাভী) স্ত্রীলিঙ্গ
হওয়ায় “দে” ধাতুর সাথে “তী” বিভক্তি যুক্ত
হয়েছে।
আবার,
সে ভাল ছেলে, সে ভাল মেয়ে। বাক্য দুটিতে ছেলে ও মেয়ে বিশেষ্য দুটির বিশেষণ
“ভাল”। বাংলায় ছেলে
মেয়ে শব্দ দুটির লিঙ্গ ভিন্ন হলেও এদের বিশেষণে
কোন পার্থক্য হয়নি। কিন্তু উপরোক্ত বাক্য দুটি হিন্দীতে বললে দাঁড়ায়। “ওহ্ আচ্ছা লাড়কা
হেয়্, ওহ আচ্ছী লাড়কী হেয়্”। এই বাক্য দুটিতে “লাড়কা” শব্দটি পুংলিঙ্গ
হওয়ায় এর সাথে বিশেষণ “আচ্ছা” হয়েছে। আবার
“লাড়কী” শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ
হওয়ায় এর সাথে বিশেষণ হিসেবে “আচ্ছী” হয়েছে। সুতরাং
বিশেষ্য ও সর্বনামের সাথে সঠিক ক্রিয়া ও বিশেষণ ব্যবহার করার জন্য লিঙ্গ শেখা আবশ্যক।
বিশেষ্যের লিঙ্গ চেনার কিছু উপায় রয়েছে। পরবর্তি পাঠে বিশদ আলোচনা করা
হবে।